Academy

পরোপকারী রহমান সাহেব এক বিপদগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন এবং ব্যবসায় করার জন্য বাড়ির এককোণে একটা দোকানঘর বানিয়ে দেন। ব্যবসার পাশাপাশি- সে আরও 'বিভিন্ন কর্মকান্ড শুরু করে। রহমান সাহেবের সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ী বাড়িটি দখল করে নেয়। একইভাবে এলাকাব্যাপী তার কর্মকাণ্ড 'বিস্তার করে এবং একক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে। ফলে এলাকাব্যাপী তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

উদ্দীপকে ব্যবসায়ীর কর্মকাণ্ড পাঠ্যবইয়ের কোন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 3 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

উদ্দীপকে ব্যবসায়ীর কর্মকান্ড পাঠ্যবইয়ের ইংরেজ কোম্পানির শাসনক্ষমতা দখলের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি' বা ইংরেজ কোম্পানি সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে এ অঞ্চলে ব্যবসার অনুমতি নেয়। পরবর্তীতে তারা পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ ও দিনেমারদের ছাড়িয়ে প্রধান ব্যবসায়ী গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হয়। ধীরে ধীরে তারা এদেশে তাদের প্রতিপত্তি বাড়িয়ে নবাবের দরবারে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। ব্যবসায়ের পাশাপাশি তারা সৈন্য রাখার অধিকার পায়। নবাব আলিবর্দী খানের মৃত্যুর পর তার নাতি সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতায় আরোহণ করলে অন্য উত্তরাধিকাররা মনোক্ষুণ্ণ হন। ধূর্ত ইংরেজ গোষ্ঠী এ সুযোগটি গ্রহণ করে। নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফরও অন্যদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। ফলে ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। বাংলার মূল ক্ষমতা চলে যায় রবার্ট ক্লাইভের হাতে। নতুন ও অনভিজ্ঞ নবাবকে হত্যা করে বাংলায় শাসন শুরু করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। পরবর্তীতে ইংরেজ কোম্পানির বিরুদ্ধে সিপাহি যুদ্ধে জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়ে।

সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের ব্যবসায়ীর কর্মকান্ড ইংরেজ কোম্পানির শাসন ক্ষমতা দখলের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত।

3 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...